Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

প্রকল্প

চট্টগ্রাম বন্দরে চলমান প্রকল্পসমূহঃ

 

চিটাগাং পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন ঃ  এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি) এর অর্থায়নে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ১৩৪.৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চিটাগাং পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন’ প্রকল্পটি বাসত্মবায়নাধীন। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে Container Terminal Management System(CTMS)ইন্সটলেশনের মাধ্যমে বন্দরের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিপূর্বক পোর্ট অপারেশন যুগোপযোগী ও আধুনিক পদ্ধতিতে সম্পাদন। এছাড়া বন্দর অভ্যমত্মরে সড়ক, সেতু, ঞড়ি ঝঃধমব এধঃব ঈড়সঢ়ষবী ইত্যাদি নির্মাণ এবং আমর্ত্মজাতিক নৌ- সংস্থার শর্তানুযায়ী বন্দরের পরিবেশ ব্যবস্থার উন্নয়নপূর্বক প্রয়োজনীয় জাহাজ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার রূপকল্প ২০২১ বাসত্মবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেশন কম্পিউটারাইজড করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কন্টেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিটিএমএস) প্রবর্তনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ ডিসেম্বর’ ২০১১ তারিখে সিটিএমএস কার্যক্রম চালু করেন। সিটিএমএস কার্যক্রম চালুর ফলে বন্দরের দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিটিএমএস এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাসত্মবায়িত হবে।

 

নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল এর ৪ ও ৫ নং বার্থের পিছনে ব্যাক-আপ ফ্যাসিলিটিজ নির্মাণঃ  নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার  লক্ষ্যে ৪ ও ৫নং বার্থের পিছনে পশ্চাৎ সুবিধাদি নির্মাণের জন্য প্রকল্পটি বাসত্মবায়িত হচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পটির ৭৪% কাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্রকল্পটি সমাপ্ত হলে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের ধারনক্ষমতা  অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

 

৩য় কর্ণফুলী সেতু হতে সদরঘাট জেটি পর্যমত্ম কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটেল ড্রেজিং এবং জেটি সুবিধাদি নির্মাণসহ ব্যাংক   প্রোটেকশনঃ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ হতে জমাকৃত পলি অপসারন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপুর্ন স্থাপনাসমূহ সম্ভাব্য ঝুকির হাত হতে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ৩৭৬.৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সদরঘাট জেটি হতে ৩য় কর্নফুলী সেতু পর্যমত্ম ড্রেজিং এর লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাসত্মবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি সমাপ্ত হলে কর্ণফুলী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং শহরের জলাবদ্ধতা হ্রাস পাবে। বাড়বে বন্দরের আয়। উদ্ধার করা যাবে নদীর দুই পাড়ে অবৈধ দখলে থাকা ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের ৫০ একর ভূমি। প্রকল্পটি জুন, ২০১৩ ইং এ সমাপ্ত হবে।

 

ভিটিএমআইএস সংগ্রহ ও স্থাপন ঃ নিরাপদ নৌ চলাচল এর বিষয়ে আমর্ত্মজাতিক সংস্থাInternational Association of Light Houses Authority(IALA)এর“Navigational Safety in Ports & Harbour”আইন অনুযায়ী বন্দরেরOuter Anchorage, Harbour entrance এবং বন্দর চ্যানেল হতে ৩য় কর্নফুলী সেতু পর্যমত্ম চলাচলকারী জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য VTMISসংগ্রহ ও স্থাপন করা হচ্ছে। ঠিকাদারের সাথে গত ১১/০৬/২০১২ ইং তারিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্পটি জুন, ২০১৩ইং এ শেষ হবে। 

 

হাই পাওযার (৪৫০০ বিএইচপি)টাগ বোট সংগ্রহ ঃ  ১৯৬৫ সালে চবক এর বহরে সংযোজনকৃত 550 BHP ক্ষমতাসম্পন্ন টাগ কান্ডারী-৯ বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গর হতে জাহাজ আনায়ন ও নির্গমন কাজ সহজতর করা, জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা, নিমজ্জিত জাহাজ উদ্ধারসহ অগ্নি নির্বাপন সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচ্য টাগ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি ডিসেম্বর, ২০১৩ ইং এ শেষ হবে। 

 

ওয়াটার সাপ্লাই ভেসেল সংগ্রহ ঃ  চট্টগ্রাম বন্দরে ৫০০ মেঃ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহকারী জাহাজ দ্বারা বন্দরে আগত জাহাজে পানি সরবরাহ করা সম্ভব না হওয়ার কারণে এবং দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ায় বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত জাহাজসমূহে পানি সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ১টি ১০০০ মেঃ টন ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ নির্মানাধীন আছে। প্রকল্পটি জুন, ২০১৩ ইং এ শেষ হবে। 

 

২৯ টি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ ঃ চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানী-রপ্তানীর পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধির সাথে সংগতি রেখে বন্দর ব্যবহারকারীদের চাহিদা মোতাবেক ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ করার লক্ষে বর্তমান এবং ভবিষ্যতে ইক্যুইপমেন্টর চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরীর ২৯টি ইক্যুইপমেন্ট ক্রয় করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭টি ইক্যুইপমেন্ট করা হয়েছে। প্রকল্পটি জুন,২০১৩ ইং এ শেষ হবে। তাছাড়া আরও কিছু ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে।

 

 

পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট স্থাপন ঃচট্টগ্রাম ওয়াসা হতে প্রতিদিন যে পরিমান পানি সরবরাহ করা হয় তা চবক এর চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। দেশী/বিদেশী জাহাজে প্রয়োজন মত পানি সরবরাহ করতে না পারার কারণে চবক তথা বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন হতে বঞ্চিত হচ্ছে। চবক এর আবাসিক ও সার্ভিস বিল্ডিংসমূহে ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা নিরসন, দেশী/বিদেশী জাহাজে প্রয়োজন মত পানি সরবরাহ  করা এবং ওয়াসা হতে নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে চবক এর একটি নিজস্ব ‘‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’’ স্থাপনের প্রয়োজন বিধায় বন্দর এলাকায় সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ন্যূনতম ৪০০ ঘন মিটার/ঘন্টায় ভূ-উপরিস্থিত পানি পরিশোধন ক্ষমতা সম্পন্ন রিভার্স অসমোসিস যন্ত্রপাতিসহ একটি ‘‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’’ স্থাপনের করা হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক কাজ করছে। 

 

চট্টগ্রাম ও পানগাঁও রুটে চলাচলের জন্য ৩টি রিকন্ডিশন কন্টেইনার ভেসেল সংগ্রহঃ ব্যয়সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধর অভ্যমত্মরীন নৌপথে কন্টেইনার পরিবহন সূচনা করার জন্য চবক এবং বিআইডব্লিউটিএ এর যৌথ উদ্যোগে পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মিত হয়। নবনির্মিত পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম সহসা শুরু ও পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারনের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক চবক এর নিজস্ব অর্থায়নে ৩টি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ভেসেল সংগ্রহের লক্ষ্যে টেন্ডার আহবান ও গ্রহণ করা হয়েছে।  

 

 

 

কর্ণফুলী কন্টেইনার টার্মিনাল (KCT) নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষাঃ চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রমবর্ধমান কন্টেইনার হ্যান্ডিলিং ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে জি সি বি-এর ৭ থেকে ১৩ নং জেটিসমূহের স্থলে আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধাসহ কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে সমীক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে যা ২০১৩-তে সম্পন্ন হবে।